কপিরাইট অফিসের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
সৃজনশীল ব্যক্তি তাঁর মেধা প্রয়োগ করে যা কিছু সৃজন করেন তাই মেধাসম্পদ। মেধাসম্পদের মালিকানা নিবন্ধনের লক্ষ্যে কপিরাইট অফিস ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কপিরাইট অফিস একটি আধা-বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠান। এর কার্যাবলী কপিরাইট আইন-২০০০ (২০০৫ সালে সংশোধিত) ও কপিরাইট বিধিমালা ২০০৬ মোতাবেক পরিচালিত হয়। এ অফিস যে প্রধান ৪টি কাজ করে থাকে তা হল : ১) সৃজশীল মেধাস্বত্বের কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন প্রদান ; ২) আপিল মামলা নিষ্পত্তিতে কপিরাইট বোর্ডকে সহায়তা প্রদান ; ৩) পাইরেসি বন্ধকরণে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা ও ৪) World Intellectual Property Organization, WIPO এর ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন।
কপিরাইট অফিস সাহিত্যকর্ম, নাট্যকর্ম, সংগীতকর্ম, রেকর্ডকর্ম, শিল্পকর্ম, চলচ্চিত্র বিষয়ককর্ম, বেতার সম্প্রচার, টেলিভিশন সম্প্রচার, কম্পিউটার-সফটওয়্যারকর্ম ইত্যাদি নিবন্ধন করে থাকে। মেধাসম্পদের আর্থিক অধিকার হস্তান্তরযোগ্য। কপিরাইট নিবন্ধন করা হলে সৃজন কর্মের নৈতিক ও আর্থিক অধিকার অর্থাৎ মালিকানা সংরক্ষণ সহজ হয়। কপিরাইট নিবন্ধন আইনানুযায়ী বাধ্যতামূলক না হলেও, সৃজন কর্মের মালিকানা নিয়ে আইনগত জটিলতা দেখা দিলে ‘কপিরাইট নিবন্ধন সনদ’ প্রমাণপত্র হিসেবে বিজ্ঞ আদালতে ব্যবহৃত হতে পারে। কপিরাইট অফিস বাংলাদেশ সর্বদা আন্তরিক সেবা প্রদান করে থাকে।
কপিরাইট অফিসটি জাতীয় গ্রন্থাগার ভবন আগারগাঁও, ঢাকা এ অবস্থিত। কপিরাইট অফিসের সাথে ই-মেইল : info@copyrightoffice.gov.bd, ওয়েবসাইট : www.copyrightoffice.gov.bd; Facebook ID : copyrightoffice; ফোন : +৮৮-০২-৮১৮১৪৩৭, ফ্যাক্স : ৮১৪৪৮৯৫; Helpline : ০১৫১১-৪৪০০৪৪ মারফৎ যোগাযোগ করা যায়। হেল্পডেস্ক ও হেল্পলাইনটি অফিস চলাকালে সর্বক্ষণ উন্মুক্ত থাকে।
ফল আর্মিওয়ার্ম পর্যবেক্ষণ ও সনাক্তকরণ |
বন্যার সময় কি করণীয় |